দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পৃথিবীর অবস্থা কেমন ছিলো


মোহাম্মদ সানাউল হক : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ মানবসভ্যতার ইতিহাসে এ যাবৎকাল পর্যন্ত সংঘটিত সর্ববৃহৎ এবং সবচেয়ে ভয়াবহ যুদ্ধ। ১৯৩৯ সাল থেকে ১৯৪৫ সাল, এই ছয় বছর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়সীমা ধরা হলেও ১৯৩৯ সালের আগে এশিয়ায় সংগঠিত কয়েকটি সংঘর্ষকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অংশ হিসেবে গণ্য করা হয়। ঘড়ির কাঁটা ধরে উপর থেকে বামদিকে: ওয়েনজিয়ালিঙের যুদ্ধে চীনা সেনাবাহিনী, প্রথম আল আলামাইনের যুদ্ধে অস্ট্রেলীয় ২৫ পাউন্ডার কামানের ব্যবহার, ১৯৪৩-৪৪ শীতকালীন মৌসুমে পূর্ব রণাঙ্গনে জার্মান স্টুকা বোমারু বিমান, লিঙ্গাইন উপসাগরে মার্কিন রণতরী, ভিলহেল্ম কাইটেল আত্মসমর্পন-চুক্তিতে সাক্ষর করছেন, স্তালিনগ্রাদের যুদ্ধে সোভিয়েত সেনা তৎকালীন বিশ্বে সকল পরাশক্তি এবং বেশিরভাগ রাষ্ট্রই এই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে এবং দুইটি বিপরীত সামরিক জোটের সৃষ্টি হয়; মিত্রশক্তি আর অক্ষশক্তি। এই মহাসমরকে ইতিহাসের সবচেয়ে বিস্তৃত যুদ্ধ বলে ধরা হয়, যাতে ৩০টি দেশের সব মিলিয়ে ১০ কোটিরও বেশি সামরিক সদস্য অংশগ্রহণ করে। অংশগ্রহণকারী রাষ্ট্রসমূহ খুব দ্রুত একটি সামগ্রিক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে এবং সামরিক ও বেসামরিক সম্পদের মধ্যে কোনরকম পার্থক্য না করে তাদের পূর্ণ অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা প্রয়োগ করা শুরু করে। এছাড়া বেসামরিক জনগণের উপর চালানো নির্বিচার গণহত্যা, হলোকস্ট (হিটলার কর্তৃক ইহুদীদের উপর চালানো গণহত্যা),পৃথিবীর ইতিহাসে একমাত্র পারমাণবিক অস্ত্রের প্রয়োগ প্রভৃতি ঘটনায় কুখ্যাত এই যুদ্ধে প্রায় ৫ কোটি থেকে সাড়ে ৮ কোটি মানুষ মৃত্যুবরণ করে। এসব পরিসংখ্যান এটাই প্রমাণ করে যে এটাই পৃথিবীর ইতিহাসে নৃশংসতম যুদ্ধ। পূর্ব এশিয়ায় একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারের লক্ষে জাপান ইতোমধ্যেই ১৯৩৭ সালে প্রজাতন্ত্রী চীনে আক্রমণ করে। পরবর্তীতে ১৯৩৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর জার্মানি পোল্যান্ড আক্রমণ করে এবং তার ফলশ্রুতিতে ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। দ্বিতীয় ঘটনাটিকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা বলে গণ্য করা হয়। ১৯৩৯ থেকে ১৯৪১ পর্যন্ত একনাগাড়ে বেশ কয়েকটি যুদ্ধ অভিযান পরিচালনা আর চুক্তি সম্পাদনার মাধ্যমে জার্মানি ইতালির সাথে একটি মিত্রজোট গঠন করে এবং ইউরোপ মহাদেশের অধিকাংশ অঞ্চল নিজের দখলে বা নিয়ন্ত্রণে আনতে সমর্থ হয়। মলোটভ- রিবেনট্রপ চুক্তি অনুসারে জার্মানি আর সোভিয়েত ইউনিয়ন তাদের দখলিকৃত পোল্যান্ড, ফিনল্যান্ড ও বাল্টিক রাষ্ট্রসমূহ নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেয়। এই সময় শুধু যুক্তরাজ্য এবং অন্যান্য ব্রিটিশ কমনওয়েলথভুক্ত দেশসমূহ অক্ষশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছিল (যেমন 'উত্তর আফ্ৰিকার যুদ্ধসমূহ’ আর বহুদিন ধরে চলা ‘আটলান্টিকের যুদ্ধ’)। ১৯৪১ সালের জুন মাসে ইউরোপীয় অক্ষশক্তি সোভিয়েত ইউনিয়ন আক্রমণ করে যার ফলশ্রুতিতে সমর ইতিহাসের সর্বাপেক্ষা বৃহৎ রণাঙ্গনের অবতারণা ঘটে। এই আক্রমণ অক্ষশক্তির সামরিক বাহিনীর একটা বড় অংশকে মূল যুদ্ধ থেকে আলাদা করে রাখে। ১৯৪১ সালের ডিসেম্বরে জাপান অক্ষশক্তিতে যোগদান করে এবং প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের পার্ল হারবার আক্রমণ ও ইউরোপীয় উপনিবেশগুলো আক্রমণ করে অত্যন্ত দ্রুততার সাথে পশ্চিম প্ৰশান্ত মহাসাগরের অধিকাংশ অঞ্চল জয় করতে সক্ষম হয়। ১৯৪১ সালের ৭ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্র মিত্রশক্তির সাথে যোগ দেয়। মূলত জার্মানি এবং জাপান দুই অক্ষশক্তিই যুক্তরাষ্ট্রে আক্রমণ করার মাধ্যমে একে যুদ্ধে ডেকে আনে। অপরদিকে চীনের সাথে জাপানের ছিল পুরাতন শত্রুতা; ১৯৩০ সালের মাঝামাঝি সময় থেকেই এই দুই দেশের মধ্যে দ্বিতীয় চীন-জাপান যুদ্ধ চলছিল। এর ফলে চীনও মিত্রপক্ষে যোগদান করে। ১৯৪৫ সালে জার্মানি এবং জাপান উভয় দেশের নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়েই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে। এই যুদ্ধে নব্য আবিষ্কৃত অনেক প্রযুক্তির ধ্বংসাত্মক প্রয়োগ লক্ষ করা যায়। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ প্রয়োগ ছিল পারমাণবিক অস্ত্রের। মহাযুদ্ধের ডামাডোলের মধ্যেই এই মারণাস্ত্র উদ্ভাবিত হয় এবং এর ধ্বংসলীলার মধ্য দিয়েই যুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটে। সকল পুণর্গঠন কাজ বাদ দিলে কেবল ১৯৪৫ সালেই মোট ব্যয়ের পরিমাণ দাঁড়ায় ১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই যুদ্ধের পরপরই সমগ্র ইউরোপ দুই ভাগে ভাগ হয়ে যায়; এক অংশ হয় পশ্চিম ইউরোপ আর অন্য অংশে অন্তর্ভুক্ত হয় সোভিয়েত রাশিয়া। পরবর্তীতে এই রুশ ইউনিয়নই ভেঙে অনেকগুলো ছোট ছোট রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিল। পশ্চিম ইউরোপের দেশসমূহের সমন্বয়ে গঠিত হয় ন্যাটো আর সমগ্র ইউরোপের দেশসমূহের সীমান্তরেখা নির্ধারিত হতে শুরু করে। ওয়ারস প্যাক্টের মাঝে অন্তর্ভুক্ত দেশসমূহ নিয়ে দানা বেঁধে উঠে স্নায়ুযুদ্ধ। এভাবেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ বিশ্বমঞ্চে অভিনব এক নাটকের অবতারণা করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণ নিয়ে যথেষ্ট বিতর্কের অবকাশ রয়েছে। তবে এ নিয়ে একটি সাধারণ ধারণা রয়েছে যা অনেকাংশে গ্রহণযোগ্য। এই কারণটি যুদ্ধোত্তর সময়ে মিত্রশক্তির দেশসমূহের মধ্যে তোষণ নীতির মাধ্যমে সমঝোতার ভিত্তি হয়ে দাঁড়ায় যা নির্দেশক শক্তির ভূমিকা পালন করে যুক্তরাষ্ট্র এবং ফ্রান্স। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানি এবং জাপানের আধিপত্য ও সাম্রাজ্যবাদকে দায়ী করে এই কারণটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে যার বিস্তারিত এখানে উল্লেখিত হচ্ছে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানি তার সম্পদ, সম্মান এবং ক্ষমতার প্রায় সবটুকুই হারিয়ে বসে। এর সাম্রাজ্যবাদী চিন্তাধারার মূল কারণ ছিল জার্মানির হৃত অর্থনৈতিক, সামরিক এবং ভূমিকেন্দ্রিক সম্পদ পুনরুদ্ধার করা এবং পুনরায় একটি বিশ্বশক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করা। এর পাশাপাশি পোল্যান্ড এবং ইউক্রেনের সম্পদসমৃদ্ধ ভূমি নিয়ন্ত্রণে আনাও একটি উদ্দেশ্য হিসেবে কাজ করেছে। জার্মানির একটি জাতীয় আকাঙ্ক্ষা ছিল প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরপর সম্পাদিত ভার্সাই চুক্তি হতে বেরিয়ে আসার। এরই প্রেক্ষাপটে হিটলার এবং তার নাৎসি বাহিনীর ধারণা ছিল যে একটি জাতীয় বিপ্লবের মাধ্যমে দেশকে সংগঠিত করা সম্ভব হবে। যুদ্ধের মূল কারণ ছিল মিত্র শক্তির এক পক্ষ চুক্তি। মিত্র শক্তির এই এক পক্ষ চুক্তি জার্মানিরা মেনে নিতে পারেনি তারা ভাবে যে তাদের সাথে পক্ষপাতিত্ত করা হয়েছে। তাই তাদের মনে একটা ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। আলবেনিয়া থেকে গ্রিস আক্রমণ করলেন। কিন্তু গ্রিকরা যে শুধু আক্রমণ প্রতিহত করল তাই না, উল্টো ডিসেম্বরের মধ্যে আলবেনিয়ার এক-তৃতীয়াংশ দখল করে ফেলল। উপরন্তু ক্রিটে ব্রিটিশ সৈন্য নামল। তুরস্কও সৈন্যসমাবেশ করে রাখল। আপাত-নিরপেক্ষ বুলগেরিয়া এবং যুগোস্লাভিয়াও বেঁকে বসল। হিটলার দ্রুত হাঙ্গেরি, রোমানিয়া ও স্লোভাকিয়াকে অক্ষচুক্তিতে টেনে নিলেন। বুলগেরিয়ায় জার্মান সৈন্য নামল ২ মার্চ। যুগোস্লাভিয়ার যুবরাজ পল অক্ষশক্তিতে যোগ দিলেন ২৭ মার্চ। দু'দিন পর জেনারেল সিমোভিচের নেতৃত্বে রাষ্ট্রবিপ্লব ঘটে এবং সিংহাসনে আরোহণ করেন ১৭ বছর বয়সী রাজা দ্বিতীয় পিটার। রাষ্ট্রীয় নীতিরও পরিবর্তন ঘটে। ৬ এপ্রিল একই দিনে আকাশ থেকে বোমাবর্ষণ এবং বুলগেরিয়া ও অস্ট্রিয়া দিয়ে সৈন্য পাঠিয়ে জার্মানি গ্রিস ও যুগোস্লাভিয়া আক্রমণ করল। ১৭ এপ্রিল যুগোস্লাভিয়া ও ২২ এপ্রিল গ্রিস আত্মসমর্পণ করে। এরপর ক্রিট দখল করা হয়। যুগোস্লাভিয়াকে খণ্ড-বিখণ্ড করে অক্ষশক্তিরা ভাগ করে নেয়। তবে পুরো যুদ্ধ জুড়ে দ্রজা হিমাজলোচির নেতৃত্বে সেন্টিক দল এবং জোসেফ টিটো'র নেতৃত্বে কমিউনিস্ট গেরিলা দল তাদের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালিয়ে যায়। উত্তর আফ্রিকা এবং ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল সমূহে অভিযান সম্পাদনা ১৯৪০ এর জুন মাসের শুরুতে ইতালিয়ানরা মাল্টায় তাদের বিমান বাহিনী যোগে আক্রমণ করে এবং ব্রিটিশ উপনিবেশটিকে ঘেরাও করে। সে বছরেরই গ্রীষ্মের শেষ থেকে বসন্তের শুরুর সময়ের ভেতর ইতালিয়ানরা ব্রিটিশ সোমালিল্যান্ড দখল করে নেয় এবং স্থলপথে ব্রিটিশ অধিকৃত মিশরে হামলা চালায়। অক্টবরের দিকে ইতালিয়ানরা গ্রীসে অসফল একটি অভিযান পরিচালনা করে, যেটাতে তাদের পক্ষের প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয় এবং আঞ্চলিক সীমানাতেও তেমন উল্লেখযোগ্য কোন পরিবর্তন আসেনি। ইতালিকে সাহায্যের উদ্দেশ্যে জার্মানিও বলকানে হামলার প্রস্তুতি নিতে শুরু করল যেখানে তাদের মুল উদ্দেশ্য ছিল ইংরেজরা যাতে সেখানে শক্ত কোন অবস্থান নিতে না পারে (কারণ ইংরেজরা যদি বলকানে দখল নিতে পারত তাহলে রুমানিয়ার তৈলখনিগুলো জার্মান আওতার বাইরে চলে যেত) এবং একই সাথে ভুমধ্যসাগরে ব্রিটিশদের একাধীপত্তের ওপর আঘাত হানা। ১৯৪০ এর ডিসেম্বরে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সমরশক্তি মিশর ও ইতালী অধিকৃত পূর্ব আফ্রিকায় ইতালীয় ফ্যাসিস্ট বাহিনীর ওপর অত্যন্ত সফল পালটা হামলা পরিচালনা করে। এই হামলার ফলশ্রুতিতে ১৯৪১ সালের ফেব্রুয়ারির শুরুতেই ইতালী পূর্ব লিবিয়ার দখল হারাল এবং সেই সাথে তাদের বিপুল পরিমাণ সৈনিক বন্দি হল। স্থল শকির সাথে সাথে ইতালীয় নৌশক্তিও যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হল। তরান্তোর যুদ্ধে ব্রিটিশ রাজকীয় নৌ বহরের বিমানবাহী জাহাজের হামলায় তিনটি যুদ্ধজাহাজ অকেজো হয়ে গেল এবং কেইপ মাটাপানের যুদ্ধে আরো কিছু জাহাজ নষ্ট হল। আফ্রিকা এবং ভূমধ্যসাগরে ইতালীয় বাহিনীর পরাজয় জার্মানিকে ওই অঞ্চলে একটি অভিযানকারী বাহিনী পাঠাতে বাধ্য করল এবং তার ফলশ্রুতিতে ১৯৪১ সালের মার্চের শেষে মার্শাল রোমেলের আফ্রিকা কর্পস আক্রমণ শুরু করে। মার্শাল রোমেলের বাহিনী কমনওয়েলথ বাহিনীকে পিছু হঠতে বাধ্য করল এবং মাসখানেকের ভেতর তারা পশ্চিম মিশর পর্যন্ত অগ্রসর হল এবং তব্রুক বন্দর ঘেরাও করল। ১৯৪১ সালের মার্চের শেষ দিকে বুলগেরিয়া এবং যুগোস্লাভিয়া ত্রিদলীয় চুক্তিতে (এটি বার্লিন চুক্তি নামেও পরিচিত) স্বাক্ষর করে, যদিও এর দুদিন পরেই ব্রিটিশ বিরোধী জাতীয়তাবাদীদের দ্বারা যুগোস্লাভ সরকারের পতন হয়। জার্মানি সাথে সাথে প্রতিক্রিয়া দেখায় এবং যুগপৎ ভাবে ১৯৪১ সালের ৬ এপ্রিল যুগোস্লাভিয়া এবং গ্রীসে হামলা চালায়। উভয় দেশই মাসখানেকের ভেতর আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। মে মাসের শেষ দিকে গ্রীসের ক্রিট দ্বীপে ছত্রীসেনা অবতরণ অভিযানের ভেতর দিয়ে জার্মানির বলকান বিজয় অভিযান সম্পন্ন হয়। জার্মানি যদিও এই অঞ্চলে দ্রুত বিজয় লাভ করেছিল, কিন্তু এরপর পরই জার্মানির দখলদারিত্বের প্রতিবাদে যুগোস্লাভিয়াতে বৃহৎ আকারের প্রতিরোধ যুদ্ধ শুরু হয়ে যায় যেটা মহাযুদ্ধের শেষ সময় পর্যন্ত চালু ছিল। সেই সময়, অর্থাৎ ১৯৪১ সালের মে মাসে কমনওয়েলথ বাহিনী ইরাকে জার্মান সমর্থিত একটি অভ্যুত্থান বানচাল করে দেয়। এই অভ্যুত্থানে ভিশি ফ্রান্সের দখলে থাকা সিরিয়ার বিমান ঘাঁটি থেকে জার্মান বিমান বাহিনী প্রত্যক্ষ সহায়তা দিচ্ছিল। জুন জুলাই মাসের দিকে কমনওয়েলথ বাহিনীগুলো সিরিয়াতে ও লেবাননে সফল হামলা করে এবং উক্ত দেশদুটি দখলে নিয়ে আসে। এই অভিযানে তাদেরকে প্রত্যক্ষ সহায়তা দেয় মুক্ত ফ্রান্সের মুক্তিকামী সৈন্যরা

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ঢাকা সাভারে সমকামী মেয়ের ছুরিকাঘাতে বাবা খুন!

পারমাণবিক বোমের ভয়াবহতা!

১৪,৫০০টি যুদ্ধে ৩.৫ বিলিয়ন মানুষের মৃত্যু হয়েছে!