ইন্দোনেশিয়ায় সুনামিতে ২২২ জন মারা গেছেন। আহত ৮৪৩ নিখোঁজ রয়েছে অনেকেই

সীমানা ওপার থেকে:


ইন্দোনেশিয়ায় সুনামিতে দেশটির তিনটি অঞ্চলে জান-মালের সবচেয়ে বেশী ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। আর এই তিনটি অঞ্চল হলো- সুমাত্রার দক্ষিণ লামপং এবং রাজধানী জাকার্তার পশ্চিম দিকে জাভার সেরাং ও পাণ্ডেগঙ্গ।জাতীয় দুর্যোগ নিরসন সংস্থা বা বিএনবিপি জানায়, রবিবার শত শত বাড়ি, নয়টি হোটেল এবং ৩৫০টিরও বেশি নৌকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। “SEVENTEEN” ব্যান্ডের IFAN বলছিলেন-
"আমরা আমাদের গিটারবাদককে হারিয়েছি, তিনি মারা গেছেন। তিনজনকে এখনো খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। দয়াকরে আমাদের জন্য প্রার্থনা করুণ। ব্যান্ডের অন্য সবাই ভাল আছে। কিন্তু কারো কারো পাজর ভেঙ্গে গেছে। দয়াকরে আমাদের জন্য প্রার্থনা করুণ।"
ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, সুনামি দেশটিতে নিহত মানুষের সংখ্যা নিশ্চয়ই ভাবেই বৃদ্ধি পাবে। তিনি সরকারি সংস্থাকে দুর্যোগ ক্ষতিগ্রস্তু মানুষকে দ্রুত সাহায্য সহযোগিতা করার জন্য নির্দেশ দেন। ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলছিলেন-

"সামাজ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং সেনাবাহিনীর প্রধান ইতোমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় রয়েছেন। আজ সকালেই আমি হতাহতের সংখ্যা জানতে ফোনে তার সঙ্গে কথা বলেছি। এখন হতাহতের সংখ্যা বেশি না হলেও, তা নিশ্চিত ভাবেই বাড়বে।"
রেড ক্রস জানিয়েছে, সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর মঙ্গে বেন্টেন একটি। সংস্থাটি জানিয়েছে, এরই মধ্যে তারা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কাছে পানি সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছে।দূর্যোগ নিরসন সংস্থার কর্মকর্তারা স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত পর্যটন এলাকাগুলোতে অনেককেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। যে জাকার্তার কাছে বান্টেন প্রদেশের তানজুং লেসুংয়ের পর্যটক লোকেলটিতে অনেকেই অনুপস্থিত।
আবহাওয়া এবং ভূ-পদার্থবিদরা জানিয়েছেন, ক্রাকটোয়াতে রাত নয়টার সময় অগ্নিউৎপাতের ঘটনা ঘটার ৩০ মিনিট পর সুনামি আঘাত হানে।
২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর, ভারত মহাসাগরে একটি ভূমিকম্পের কারনে যে সুনামি হয়েছিলন ঘটেছিল, তাতে ১৩টি দেশের দুই লাখ ২৬ হাজার মানুষ মারা গিয়েছিলেন। যার মধ্যে ইন্দোনেশিয়াতেই এক লাখ ২০ হাজারের বেশী মানুষ মারা যান।
নবীনতর পূর্বতন