সরকার গঠন হয়ে আছে! কে হচ্ছে বিরোধী দল?

দেশ বিদেশ ডেস্কঃ


আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে চলছে আলোচনা-সমলোচনা। কোন দল যাচ্ছেন ১১ তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সরকার গঠনে তা মোটামুটি স্পষ্ট হয়ে আছে অনেকের কাছেই। এরিই মাঝে ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটি সংঘটনের পূর্ভাবাসে উঠে এসেছে ১১ তম সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজয়ী হওয়ার কথা!

১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কে হচ্ছে বিরোধ দল তা নিয়েই চলছে চায়ের কাপে ঝড়। দেশের প্রায় সর্বত্যই এখন একিই আলোচনা সরকার গঠন  তো হয়েই গেছে, কে হচ্ছেন জাতীয় সংসদে বিরোধী দল। দেশের সাধারণ ভোটারদের মাঝে এমনও অনেক অভিমত দেখা যায়, কেউ কেউ বলতেছে যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি এ সরকারের অধীনে ক্ষমতায় বসতে পারবে না। শুধুমাত্র বিরোধী দল হওয়ার জন্যই এবারের নির্বাচনে যাওয়া।



গত ৫ জানুয়ারী নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহন না করে যে ভুল করেছে তার পূনরাভিত্তী যেনো দ্বিতীয়বার না হয় তাই এবারের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা। ১১ তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির একাধিক দাবী দাওয়া ছিলো সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের উপর। অনেক ক্ষেত্রে তাদের দাবী নামঞ্জুর করা সত্ত্বেও এবারের নির্বাচনে কেনো অংশগ্রহণ করছেন, সেখান থেকে দেশের সাধারণ ভোটাররা মনে করে নিচ্ছেন যে বিএনপি কোনরকম বিরোধী দল হওয়ার আশায় ই হাটছেন। 

সাধারন জনগন ও ভোটারদের ধারণা যে, বিএনপি বিরোধী দল হওয়া ছাড়া কোন আন্দোলনেই টিকে থাকতে পারবে না। যে কোন আন্দোলন সংগ্রামে বিরোধী দলের কিছু না কিছু ভূমিকা থাকে। বিএনপির বিগত দিনের আন্দোলন কেনো সফলতা বয়ে আনেনি ইতোমদ্ধে তা বুজতে পেরেছে বিধায়ই এবারের নির্বাচনে সরকারদলীয় বাহিনীর এতো বাধা বিপত্তির পরেও নির্বাচন থেকে পিচপা হয় নি। তবে সূত্রে জানা যায়, এতো হামলা মামলা বাধা বিপত্তি হলে বিএনপি এবারের নির্বাচন থেকে সরে দাড়ানোর সম্ভাবনাও রয়েছে।



১১ তম সংসদ নির্বাচনকে নিয়ে সারাদেশব্যপী  সরকারদলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করতে নানামুখী প্রচারণা চালাচ্ছে আওয়ামী লীগ। এক্ষেত্রে বিএনপি ও অংগ সংগঠনের প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারণায় অনেক যায়গায় বাধা বিপত্তির স্বীকার হচ্ছে বলে দেখা যায় সামাজিক যোগাযোগ মাদ্ধমগুলোতে। প্রাই বিভিন্ন মাদ্ধমে দেখা যায় বিএনপির  নির্বাচনী প্রচারের মদ্ধে পুলিশ ও সরকারদলীয় ক্যাডারদের হামলা খবর। 

বিএনপি  মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নির্বাচনী প্রচারণায় সন্ত্রাসী হামলার খবর প্রচারিত হয়েছে। যশর সদর আসনে বিএনপির নির্বানী প্রচারণা অনুষ্ঠানে বোমা হামলা ও ভাংচুর হওয়ার খবর শুনা গেছে, চাদপুর ফরিদগঞ্জে বিএনপির নির্বাচনী প্রচারণায় পুলিশ বিএনপির হামলার খবর পাওয়া গেছে। পরবর্তীতে থানা পুলিশ বাদী হয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে বে-নামে মামলা করেছে। এরপর থেকেই বিএনপি প্রার্থী এলাকা ছাড়া হয়ে আছেন বলে জানা যায়। বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসের স্ত্রীর আফরোজা আব্বাসের নির্বাচনী প্রচারণায় আওয়ামী যুবলীগ, ছাত্রলীগের হামলা হয়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে। 



এরিই ধারাবাহিকতায় জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বিএনপির প্রচার প্রচারের উপর নানা হামলা মামলা হওয়ার কারণে বিএনপির নির্বাচন বর্জন করতে পারে বলেও চলছে নানা আলোচনা। সাধারন নাগরিকের মাঝে এমন আলোচনা ও হচ্ছে যে বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহন না করলে দলের নিবন্ধন বাদ পড়ে যাবে কি না। তবে নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী বিএনপি ১১ তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রায় সবগুলি পন্থায় অবলম্বন করেছে। সে ক্ষেত্রে বিএনপি যদি এবারের নির্বাচন থেকে সরেও দাঁড়ায় তাহলে তাদের নিবন্ধন বাতিল অথাবা দলে কোন প্রভাব ফেলবে  না।

১১ তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাধারন জনতার  মাঝে এমন আরোও অনেক অভিমত লক্ষ করা যায় যে, সরকার জাতীয় পর্টিকে এবারও বিরোধী দল বানানোর জন্য চেষ্টায় আছেন। আবার কেউ কেউ বলেন যে, ঐক্যজোট থেকে জামাতে ইসলামীকে আলাদা করে বিরোধী দল করার একটা প্রক্রিয়াও রয়েছে। এমতাবস্থায় কোন পথে হাটছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গন এ নিয়ে এক ধরণের শংকায় পড়েছে দেশের সাধারণ জনগণ। 

নবীনতর পূর্বতন