বৈষম্যের স্বীকার হয়েও ঢাবি ভর্তি পরীক্ষায় ১ থেকে ৫ম স্থান মাদ্রাসা পড়ুয়াদের দখলে।

সানাউল হক :

২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছিল। এক সময়ের প্রাচ্যের ক্ষ্যত অক্সফোর্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়াটা সাধারণ ছাত্র জনতা মানতে পারেনি।  এরিই ধারাবাহিকতা নিয়ে  আখতার হোসেন নামক এক ছাত্র একা রাজু ভাস্কর্যের পাশে অনশনে বসে গেলেন এক দাবি নিয়ে। তার দাবি ছিল খুব সহজ ও পরিষ্কার। আখতার হোসেন দাবি করেছিল, পরীক্ষা বাতিল করে আবার নেয়া হোক ‘ঘ’ ইউনিটের পরীক্ষা। এই দাবিতে অনশনের এক পর্যায়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন ঢাবি ছাত্র আখতার।

মাদ্রাসা থেকে পড়াশুনা করে আসা ঢাবির ছাত্র মোহাম্মদ আক্তার হোসেনের এই অনশনে ঢাবির শিক্ষক ও প্রশাসন কেউই ভ্রুক্ষেপ করেনি। উল্টো আরো অনেক অপমানিত হতে হয়েছে তাকে মাদ্রাসার ছাত্র হওয়াতে। দেশের সবছেয়ে দামী বিদ্যাপিঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রকে এভাবে অপমান করাটা কোন প্রজন্মের জন্যই শুভ নয় বলে আখ্যায়িত করেছেন শুধিমহল! তবে নিন্দুকে জবাব ঠিকিই দিয়ে দিলেন মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্ররা। এক থেকে পঞ্চম স্থান মেধা তালিকায় তারাই নিয়ে নিলেন তাদের দখলে।
Click here

জল অনেক ঘোলা হওয়ার পর শেষ অবধি ঢাবি প্রশাসন ঠিকই আখতারের দাবি মেনেছে। কিন্তু তার আগে ঢাবি প্রশাসন তাদের সাম্প্রদায়িকতা এবং বৈষম্যের চিত্রটাই তুলে ধরেছে। শুধু প্রশাসনই নয়, কিছু শিক্ষকও তাদের নেতিবাচক মানসিকতার দৃষ্টান্তও দেখিয়েছেন। কিন্তু তাতে মাদ্রাসা ছাত্রদের এতটুকুও ক্ষতি হয়নি। বরং কালি পড়েছে প্রশাসন এবং ওই সব শিক্ষকদের মুখে। কেননা অনেক চাপের মুখে ঢাবি প্রশাসন যখন ‘ঘ’ ইউনিটের পরীক্ষা পুনরায় নিলো তখন সেখানে জয়জয়কার মাদ্রাসা ছাত্রদের। যে ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে গতকাল। ওই ফলাফলে শীর্ষ পাঁচ জনের সবাই মাদ্রাসা ছাত্র। এর চেয়ে মধুর জবাব আর কি হতে পারে?
নবীনতর পূর্বতন