জেলা প্রশাসকের মানব কল্যাণে করা কাজগুলো ইতিহাস হয়ে থাকবে।

সানাউল হকঃ  

একজন উদ্দোমী পরিশ্রমিক জেলা প্রশাসকের মানব কল্যাণে করা কাজগুলো সারা দেশেই মানব ইতিহাসে বিরল হয়ে থাকবে। একটি জেলার প্রশাসনিক দ্বায়িত্ব ছাড়াও প্রতিদিনি সাধারণ মানুষের কল্যানে কাজ করে এক বিরল নজির স্থাপন করে যাচ্ছেন। বিশাল দায়িত্ববোধ নিয়ে মনবতার কল্যানে কি করে কাজ করা লাগে তা তিনি শুধুমাত্র চাঁদপুর বাসীকে নয় সারা দেশকে শিখিয়ে দিয়েছেন। জেলার সর্বোচ্ছ ক্ষমতাসীন হওয়া সত্ত্বেও যেখানে তার বিলাসবহুল জীবন যাপন করার কথা সেখানে অসহায় মানবের কল্যানেই সারাটা দিন অতিবাহিত করে যাচ্ছেন এই মানুষটি। 

সামাজিক যোগাযোগ মাদ্ধমে প্রাই তাকে ভিন্ন চরিত্রে দেখা যায়। চাঁদপুর বাসী এই জেলা প্রশাসক মাজেদুর রহমান খানের বিষয়ে বলে থাকেন, তিনি অতি কম মাত্রায় সরকারি তহবিল  থেকে অর্থ খরচ করে থাকেন। কিছুদিন পুর্বেও জেলা প্রশাসক বিভাগীয় সরকারি একটা অনুষ্ঠানে চট্রগ্রাম গিয়েছেন। যেখানে অন্যান্য জেলা প্রশাসক সরকারি তহবিলে ভিআইফি খরচে ভ্রমনে গিয়েছেন, সেখানে মাজেদুর রহমান লোকাল ট্রেনে করে অনুষ্ঠানে পৌছে চাঁদপুর জেলায় এক নতুন ইতিহাস তৈরি করেছেন। অনেক গন্য মান্য ব্যক্তি বর্গ তার এই ব্যবহারে সন্তুষ্টি জ্ঞাপন করে তাকে চিঠি পাঠিয়েছে অনলাইন সোশ্যাল মাদ্ধমে।       

শুধুমাত্র সাম্প্রতিককালেই নয়,  অসহায় হতদরীদ্র মানুষের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়ানো চাঁদপুরের সুযোগ্য জেলা প্রশাসক মোঃ মাজেদুর রহমান খানের নিয়মিত কর্মকান্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। গতকাল ৩ নভেম্বর শনিবার সন্ধ্যায় তিনি হটাৎ চাঁদপুর রেলওয়ে কোর্ট ষ্টেশনে উপস্থিত হন। এ সময় বেশ কয়েকজনকে স্বাবলম্ভি করার ব্যবস্থা করেন। অসহায়দের মধ্যে মতলব উত্তর মোহনপুরের মৃত আব্দুল গফুরের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৬৫) কে চাঁদপুর রেলওয়ে কোর্ট ষ্টেশনে শুয়ে থাকতে দেখে তাকে চাঁদপুর সরকারি শিশু পরিবারে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে থাকার চিরাস্থায়ী বন্দোবস্ত করেন। 

মতলব দক্ষিন ঘোরাধারি চারু হাজী বাড়ীর মৃত জাফর আলীর পুত্র নুর হোসেন (৮০) কে চাল এবং গৃহ নির্মানের টিনের ব্যাবস্থা করে দেন। সিলেট মৌলবি বাজার জেলার শ্রী মঙ্গল থানার ৫নং কালাপুর ইউনিয়নের গাজীপুর গ্রামের রমজান মিয়ার স্ত্রী পঙ্গু শাহানারা বেগম (৪৫) ও তার ২ বছরের শিশু জান্নাতকে চাঁদপুর রেলওয়ে কোর্ট ষ্টেশনে খুঁড়িয়ে হাটতে দেখে তাৎক্ষনিক একটি নতুন হুইল চেয়ার কিনে দেন। 

এছাড়াও ২ জনকে নগদ অর্থ ও ৩ জনকে হোটেলে নিয়ে উন্নত খাবারের ব্যবস্থা করে দেন। এছাড়াও বাঁশির সুরে গান তুলে জীবীকা নির্বাহ করাকে স্বাধুবাদ জানান। তাকে স্বাবলম্বি করার জন্য ইতিপূর্বে ২০ হাজার টাকা দিয়েছেন বলে জানান। এই বাঁশিওয়ালাকে একটি ছাউনি করে দিবেন বলেও আশ্বস্ত করেন জেলা প্রশাসক। এ সময় আরো অনেক সাধারন অসহায় মানুষের সাথে কথা বলেন জেলা প্রশাসক মোঃ মাজেদুর রহমান খান । উপস্থিত লোকজন বলতে থাকেন এমন একজন মানবদরদী জেলা প্রশাসক দীর্ঘজীবী হোক।
নবীনতর পূর্বতন