সানাউল হকঃ
মাতৃভূমিতে এসে বিয়ের পিঁড়িতে বসা হলো না পিতৃহারা আরিফের। শনিবার রাতে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যান চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ পৌরসভার ভাটিয়ালপুর গ্রামের গোলাপ খাঁর বাড়ির মোশারেফ হোসেনের বড় ছেলে আরিফ।
মাতৃভূমিতে এসে বিয়ের পিঁড়িতে বসা হলো না পিতৃহারা আরিফের। শনিবার রাতে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যান চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ পৌরসভার ভাটিয়ালপুর গ্রামের গোলাপ খাঁর বাড়ির মোশারেফ হোসেনের বড় ছেলে আরিফ।
গতকাল শনিবার রাতে ওমানের বারকা শহরে নিজ কর্মস্থলে আরিফ বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যান। আর এ খবর শুনে পরিবারের লোকজন এখন পাগলপ্রায়, তার গ্রামের বাড়ি ফরিদগঞ্জে পরিবারে চলছে শোকের মাতম। নিহতদের লাশ ফেরত পেতে সরকারের সহযোগিতা চান স্বজনরা।
পরিবারের বড় ছেলে হিসেবে সংসারের সকল দায়িত্ব তার উপরেই বিদ্যমান ছিলো। আরিফের ছোট ভাই এবং সহকর্মিরা জানান, বেছে থাকার আরো কয়েকমাস পূর্বেও আরিফ দেশে এসেছিলো বিয়ের উদ্দেশ্যে। কিন্তু তার ছোট বোন খুকিকে বিয়ে দিতে গিয়ে তার আর বিয়ে করা হলোনা।
আগামী জানুয়ারিতে বাড়ি ফিরে বিয়ের পিঁড়িতে বসার কথা ছিল আরিফের। কিন্তু বিয়ের পিঁড়িতে বসায় আর হলো না। তার আগেই আরিফ চলে গেলেন না ফেরার দেশে।
নিহত আরিফের মা সালমা বেগম জানান, আমার স্বামীর মৃত্যুর পর বড় ছেলে আরিফ পরিবারের স্বচ্ছলতা ফেরাতে ৫ বছর আগে ধার-দেনা করে কাজের। এর মধ্যে গত প্রায় ২ বছর আগে একবার দেশে এসে কয়েক মাস পরিবারের সাথে কাটিয়ে ফের বিদেশে চলে যায়। সেখানের গিয়ে সামান্য আয় রোজগার করে বিয়ের প্রস্তুতি নিয়ে আগামী জানুয়ারিতে বাড়িতে ফেরার কথা ছিল।
সে লক্ষে তার বন্ধু মানিকের কাছে বিয়ের সামগ্রী পাঠিয়েছে। কিন্তু আল্লাহ তার আশা পুরণ করেনি। এই বলে তিনি কান্না ভেঙে পড়েন।
তার চাচাত ভাই মহরম জানান, আরিফের স্বপ্ন ছিল বিদেশে গিয়ে কাজ করে পরিবারের স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনবে। মা-ভাই বোনসহ সবার মুখে হাসি ফোটাবে। কিন্তু তা আর হলো না। ওমানে কর্মস্থলে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে তরতাজা আরিফ নামের প্রাণটি অকালে ঝরে যাওয়ায় তাদের সে স্বপ্ন আর পূরণ হলো না।