নাস্তিক সম্প্রদায় বলতে কারা এরা!



সানাউল হক:



শনাস্তিক সম্প্রদায়ের বিবেক বুদ্ধি লোপ পেয়ে গেছে। তাইতো আরিফ আজাদ, র প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ-এই গ্রন্থখানা প্রকাশিত করার মাদ্ধমে Atheist ভাই-বোনদের হারানো বিবেক পিরে পেতে নিদারুন সহায় হবে।
Atheist, আপনারা যে কোন বিষয়ে শুধু যুক্তি খুজেন, আর আপনাদের সঠিক যুক্তি এখান থেকে পেয়ে যাবেন, যদি মনযোগ সহকারে গ্রন্থখানা পড়ে থাকেন। তবে আপনারা বিচলিত হবেন না, মুমিনরা শুধুমাত্র আরিফ আজাদের  Paradoxical Sajid- এর প্রকাশিত গ্রন্থের উপরেই যুক্তি নির্ভশীল নয়।

মুমিনদের সবছেয়ে চ্যালেঞ্জিং যুক্তি এবং সত্য উদঘাটনের জন্য যা রয়েছে, তা হচ্ছে মহা গ্রন্থ আল কুরআন। Atheist আপনারা তো সেই মহা গ্রন্থকে ভুল ভাল ভেবে অযৌক্তিক ধারণা পোষণ করেন।

কুরআনে যদি থাকে এক রকম, আপনারা রেফারেন্স তুলে ধরেন আরেক রকমে। Atheist আপনাদের অসংখ্য পেইজ, গ্রুপ, ব্লগে ইদানিংকালে আমি পোষ্ট দিয়েছি, যখনি আমি সৃষ্টিকর্তার বিষয়ে সঠিক যৌক্তিক প্রমান সহকারে পোষ্ট দিচ্ছি, পরক্ষণেই দেখি আমার আইডিতে রিপোর্ট।

যা বলতেই হয়, তা হচ্ছে বর্তমানে বাংলার মাটিতে Atheist- নাস্তিক বলতে তেমন কেউই নেই। যারা দাবিদার এবং চামুচের মদ্ধে তুফান উঠাচ্ছেন তারা শুধুই ইসলাম বিদ্দেশী। এদের মদ্ধে কেউ আছে সেলিব্রিটি হওয়ার জন্য নেগেটিভ পোষ্ট যেমন ইসলাম এবং হিন্দু ধর্মের বিরুদ্ধে অযাচিত বাক্য তৈরি করে আলোচিত হয়ে নিজের ফায়দা তুলতে।

আবার কেউ রয়েছেন, শুধুমাত্র ইসলাম, এবং মুমিনদের ঘায়েল করতে এই কথিত নামের দলে যোগদান করা। বাংলাদেশ যেহতু ভিনধর্মালম্বিদের সংখা সংকির্ণ, সে সমিকরণে যার তার ধর্মের উপর অবিচল থেকে মুমিনদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাতে কষ্টকর, সামাজিকতারও একটা বিষয়, তাই কথিত Atheist  নামে পদাচারণ।

নারীবাদী যারা আছেন, তারাতো রিতিমত সব দোষ শুধুমাত্র ইসলামের উপরেই চাপিয়ে দিচ্ছেন। অথচ তাসলিমা নাসরিন, বেয় বোশ  থেকে শুরু করে নতুন পাতি নাস্তিক আর কিছু সংখ্যক সাম্রাজ্যবাদীরা কি করতে পেরেছে দেশের অশহায় নারীদের কল্যানে।

দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন এক চাঞ্চল্যকর তথ্য, যেখানে বলা হয়েছে রাজধানী ঢাকাতে প্রতি ঘন্টায় ১ জন নারী তালাক হচ্ছে, সারাদেশে তালাকের প্রবনতা বেড়েছে ৩৪% । আজকে এই সকল নারীবাদিরা যদি বাস্তবিকভাবে নারীদের কল্যানেই কাজ করতেন তবে এমনটাই হতোনা।

নারীবাদী আর সাম্রাজ্যবাদী র প্রতিবাদের মাধ্যমে বাংলাদেশে যা হয়েছে, তা হচ্ছে নারীদের শুধুমাত্র পুরুষের সাথে শারীরিক প্রতিযোগিতায় একক করা ছাড়া আর কিছুই নয়। যেমন দেখা যায়, মেয়েদের মুখে আগুনের ধোঁয়া, ছেলে মেয়েদের এক রকমের পোশাক, আর টুকিটাকি কিছু।

নারী অধিকার আদায়ে সত্যিকারের যা করনীয় ছিলো, তার ধার প্রান্থেও কাজ করেনি। যদি করতেন তাহলে আজ স্বাধিন সমৃদ্ধ এই দেশে প্রতি ঘন্টায় একজন করে নারী নির্যাতিত, নিপিড়িত, ধর্ষিতা, তালাকপ্রাপ্ত হতোনা।

নারীদের কল্যান, নারীদের স্বাধীনতা তখনি হতো, যখন কোন নারী তার স্বামীর নিকট দাশী নয়, পকৃত স্ত্রী, ছেলে সন্তানদের নিকট যোগ্য মা, পিতার নিকট গর্ভিত কন্যা, আর পরিশেষ সমাজের নিকট এক সন্মানি রমনি, কন্যা, স্ত্রী, আর নারী হিসেবে পরিগনিত হতো।

মুমিন ভাইরা সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব নিয়ে সঠিক প্রমান স্বরূপ পোষ্ট প্রাই দিয়ে থাকেন, সেখানে দেখা যায় নাস্তিক রা অযৌক্তিক বহমান বায়না ধরে বসে। কথিত এ সম্প্রদায়ের সাথে সব রকমের তর্ক-বিতর্ক শেষে যা বুজা যায়, এরা হচ্ছে লেজকাটা এবং ঘাড়তেড়ার দল। এরা কি বলে, কেনো বলে সেটাই অনুধাবন করতে পারেনা।

পরাজয়ের গ্লানি সব দিকেই তাদের মাথার উপর, তা সত্বেও অহেতুক যুক্তির পিছনে পড়ে আছে। সৃষ্টিকর্তা অাছেন, আল্লাহর নবীর সবগুলো মোজেজা আল্লাহর তরফ থেকে এসেছে, তার মদ্ধে হযরত আয়েশা (রাঃ)র বিবাহ আল্লাহর হুকুমে হয়েছে, খায়বারের যুদ্ধ, ঈসা (আঃ) এর অলৌকিক জন্ম, মুয়াবিয়ার ঘটনা, আল্লাহর নবীর বিবিগন, নবীজীর পালক পুত্রের স্ত্রীর বিয়ে, বিধবা খাদিজাকে বিয়ে, আরো অনেক বিষয়,

পরিশেষে আল্লাহর নবীর শ্রেষ্ঠ চরিত্রের ইতিহাসের বিষয়  নিয়ে Atheists  র সাথে বার বার সঠিক তথ্য জানান দেয়ার পরেও তারা অবিশ্বাস করেই যাচ্ছে, আর মুমিনদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। তাহলে তাদের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র ইসলাম কে অপমানিত করা ছাড়া আমরা আর কি বা মনে করতে পারি। সুতরাং নাস্তিক বলতে এরা কেউ নয়, যারা এমন অপপ্রচার করবে তাদের বিরুদ্ধে সঠিক ব্যবস্থা গ্রহনে আইনের সহযোগিতা যুগোপযোগী সময়।

নবীনতর পূর্বতন