সানাউল হকঃ
মদ্ধযোগীয় তথা জাহেলি যুগে হাটে বাজারে মানুষ বেচা কেনা হতো। তখনকার সময়ে দাশ দাশি হিসেবে নির্ধারিত সময়ের জন্য মানুষের সাথে মনিবদের চুক্তি হতো। ইতিহাস বলতেছে তখনকার সময়কালে মানব বেচার ক্ষেত্রে বেশিরভাগই ছিলো নারীর সংখ্যা । কেননা নারীরা ছিলো তখনকার সমাজব্যাবস্থার নিকট এক অভিশপ্ত জীব হিসেবে পরিচিত। তাই সে যুগকে অন্ধকারের যুগ হিসেবে রুপান্তরিত করা হয়েছে।
সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশে মনব বেচা কেনার হাট বসার খবর পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাদ্ধমে। এমনি এক হাটের সন্ধান পাওয়া গেছে খুলনার কৈয়া বাজারে। সপ্তাহে ২ দিন তথা রবিবার ও বুধবারে এ বাজারে মানুষ বেচা কেনা হয়। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এ হাটে লোকজন আসে বিক্রি হওয়ার জন্য। প্রতিজন মানবের মূল্য মাত্র ২০০ থেকে ২৫০ টাকার মদ্ধে বিক্রি হতে হয় ১ দিনের জন্য।
খুলনার কৈয়ার হাটে বেশিরভাগ মানুষ বিক্রি হয় ১ সপ্রাহ অথবা ১ মাসের জন্য। প্রতি সপ্তাহে একজন মানুষকে বিক্রি হয়ে তার মনিবের কাছ থেকে পারিশ্রমিক পাচ্ছেন ১২ শত টাকা থেকে ১৫ শত টাকার মত করে। এই টাকায় তাদের পরিবার পরিজনের মুখে অন্য বস্র উঠে। যেদিন বিক্রি হতে পারেন না সেদিন পরিবার পরিজন নিয়ে না খেয়ে দিন যাপন করে থাকেন বলে জানান কৈয়া বাজারের এমন কয়েকজন বিক্রি হওয়া মানুষের মাঝে একজন সফিউল।
মানব বেচার হাটে একজন মানুষ ক্রেতার সাথে আলাপকালে জানা যায়, বিশেষ কাজের জন্য এ হাট থেকে এক সপ্তাহ অথবা এক মাসের জন্য মানুষ ক্রয় করে নিয়ে কাজ সম্পাদনা করে থাকি। নির্ধারিত সময়ের জন্য তাদের সাথে চুক্তি করি। এবার আমাদের কাজ যেখানে করানো প্রয়োজন তাদের সেখানে নিয়ে যাই। তখন কারো কোন ওজড় ওজুহাত শুনিনা। টাকার বিনিময়ে মানুষ ক্রয় করি আমাদের কাজের জন্য। কাজ শেষে তাদের পারিশ্রমিক দিয়ে বিদায় করে দেই।
দেশের বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, এমন পরিস্থিতিতে দেশের কল্যাণে ভালো দিক বয়ে অনবেনা। যেখানে এখনো সেই মদ্ধযুগীয় কায়দায় মানুষ কেনা বেচা হচ্ছে সে দেশে উন্নয়নের ছোয়া লেগেছে বলে মনে হচ্ছেনা। যার একটু আছে তার আরেকটু বেশি প্রয়োজন। যার একেবারে নেই তারাই আজ একান্ত বাদ্ধ হয়ে ক্রিতদাশ ৷