সানাউল হক:
ব্রিটিশ শাষনামল থেকেই ডাকাতিয়া নদীর ব্যবহার ছিলো খুভিই গুরুত্বশীল। এই নদীর উপর প্রতিদিন ভেসে ভেসে গন্তব্যস্থলে যেতো অসংখ্য লঞ্চ, স্টিমার, ছোট বড় নানা আকারের জাহাজ সহ নৌকা। ইলিশের বাড়ি চাদপুরে প্রবেশ করলেই যার শুরু, শেষটা বঙ্গপোসাগরের সাথে মিশে আছে।
যখন পূর্বানঞ্চলীয়দের সড়ক পথে যাতায়াতের জন্য তেমন কোন ব্যবস্থা ছিলোনা, তখন শুধুমাত্র যোগাযোগ খাতে এই ডাকাতিয়াই ছিলো একমাত্র অবলম্বন। এই ডাকাতিয়া নদীর উপর দিয়েই ৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনীরা দেশের অন্যান্য অঞ্চলে প্রবেশ করতো। বড় বড় জাহাজে করে অস্র গোলা বারুদ বহন করে পার হতো। সেই ডাকাতীয়া আজ মরা গাংয়ে রূপায়িত হয়ে আছে। আসছেনা জন সাধারনের তেমন কোন প্রয়োজনে।
এই ডাকাতীয়া এখন শুধুমাত্র বছরের কৃষির জমির জন্য স্কিমের পানির ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়ে মরা নদির উপাধিতে ভূসিত হয়ে আছে।
এই ডাকাতিয়া নদীতে ৭১ এর সংগ্রামের সময় পাক হানাদার রা মুক্তিবাহিনীর উপর আক্রমণ করার জন্য জাহাজভর্তী অস্র গোলা বারুদ নিয়ে যখন চাদপুরে প্রবেশ করে, তখন ফরিদগঞ্জ উপজেলায় ডাকাতিয়া নদীর মাঝে মুক্তিবাহিনীরা লুকিয়ে থেকে নদীর মদ্ধেই পাক হানাদারদের জাহাজটি ডুবিয়ে দিয়ে স্বাধীনতার এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে জায়।
এই নদীর আরোও অনেক ইতিহাস রয়েছে, গল্প কবিতা ও নাটক সিনেমায়। বর্তমানে কচুরিপানা আর বর্জ অবর্জনায় এ পাশ ও পাশা ধীরে ধীরে ভরাট হয়ে নদীর সুন্দৌর্য হারাতে বসেছে। এছাড়াও রয়েছে ভুমিদ্যুস্যাদের দখলের মহা উৎসব। সব মিলেয়ে এক সময়ের সেই ভয়াবহ ডাকাতীয়া আজ মরা গাংয়ে পরিনত হয়ে আছে।